ডেভ শাপলামি
স্বপ্নে দেখতেসি, ডেভ সেপিলের নতুন স্ট্যান্ড আপ বের হইসে আর সেটা আমি বেশ জুৎ করে দেখতেসি। ডেভ স্টেজে একটা টুলে বসে কথা বলতেসে। এক হাতে একটা বেশ মোটা তাঁজা সেনডুইচ আর আরেক হাতে একটা সিগারেট। কথার ফাঁকে ফাঁকে সিগারেটে টান দিচ্ছে আর হাতের সেন্ডুইচে একটা করে কামড় বসাচ্ছে। বিশাল অন্ধকার কনসার্ট হলের বিশাল স্টেজের একদম সেন্টারে তাক করা একটাই উজ্জ্বল স্পট লাইটের আলোয় বসে বেশ আঁতলামি করতেসে - "আমরা বুড়োরা এখন যে কি একটা অদ্ভুত সময়ে মধ্যে বাস করছি, তোমার যেনজিরা কল্পনাও করতে পারবে না। আমাদের সময় ধরো কেও পিছলা খেয়ে পরে গেলে আমরা শুধু হো হো করে হাসতাম। আর তোমরা এখন সেটা ভিডিও করে অনলাইনে ভাইরাল করে হাজার হাজার ডলার কামাও। আমি কাওকে দোষ দিচ্ছিনা শুধু বলছি সময়টা কেমন যেন আজব। যে উল্টে পড়লো তারও কোনো দোষ নেই, যে সেটার ভিডিও প্রচার করে তাকে গোটা দুনিয়ার হাসির পাত্র বানালো তারও দোষ নেই। আর সারাদিন গাঁধার মতো খেটে বাড়ী ফিরে যারা এসব দেখে হো হো করে হাসে তাদেরও আসলে কোনো দোষদেয়া যায় না। সময়টাই আসলে আজব।" তারপর অডিয়েন্সের দিকে তাকিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলো - "তোমরাই বলো কাওকে কি দোষ দেয়া যায়?" সবাই এক যোগে হুঙ্কার দিলো - "না।" "সত্যি সময়টা বেশ আজব" - বলে ডেভ সামনের রোও তে বসা এক ইয়ং জেনজিকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো - "তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কি বলছি?" মেয়েটা মাথা নেড়ে হা বোধক ইঙ্গিত করলো। ডেভ বেশ অবাক হয়ে একটু সামনে ঝুকে আবারো জিজ্ঞেস করলো "তুমি কি সত্যি বুঝতে পারছো আমি কি বলছি?" মেয়েটা আবারো একই হা বোধক জবাব দিলো। ডেভ এবার টুল থেকে উঠে স্টেজের একদম কোনায় এসে হাটু গেড়ে বসে বেশ আবেগ নিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলো - "তুমিকি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবে তুমি সত্যি সত্যি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছো?" মেয়েরাও বেশ স্মার্টলি সিট থেকে উঠে হেটে হেটে একদম ডেভের সামনে গিয়ে কিছু বলার জন্য মাত্র মুখ খুলছে, ওমনি একদম থপাস করে, ডেভের হাতের সেন্ডুইচটা, মেয়েটার পুরো মুখ জুড়ে লেপ্টে। পুরো হলরুম হো হো শব্দে কাঁপছে।
অনেক অনেকদিন পর নিজের অট্ট হাসিতেই নিজের স্বপ্ন ভাঙলো। ভ্যাঙার পরেও বেশ কয়েকবার ঘুরে ফিরে হেসেছি। সস্তা দরের হলেও। যদিও হাসি পুরোপুরী থামার পর অনেক্ষন সিলিঙের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম।
অনেক অনেকদিন পর নিজের অট্ট হাসিতেই নিজের স্বপ্ন ভাঙলো। ভ্যাঙার পরেও বেশ কয়েকবার ঘুরে ফিরে হেসেছি। সস্তা দরের হলেও। যদিও হাসি পুরোপুরী থামার পর অনেক্ষন সিলিঙের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম।



Comments
Post a Comment