চলছে খেলা
বেশ আগের কথা। ঢাকা শহর তখনও ফ্লাইওভার এর নাম গন্ধও শোনেনি। কোনো এলাকায় কয়টা দোতালা কি তিনতালা বিল্ডিং তা হাতে গুনে বলে দেয়া যায়। আর পাঁচ তালা হলে তো কথাই নাই, রীতিমতো ল্যান্ড মার্ক। শহরের যে কোনো রিকসাওয়ালাকে শুদু বললেই হলো - বাসাবো কদমতলা পাঁচতালা, ব্যাস। একদম বিনা বাক্যে সোজা বাসার সামনে নিয়ে হাজির করবে। কোকা-কোলার বোতল তখনও শুধু একটা সাইজেই সীমাবদ্ধ। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেও পরিচিতি পায়নি। দামটা অবশ্য খুব একটা কম ছিলো না। কনফেক্শনারি দোকানের মিরু ভাইয়ের পরিচিত হলে দশ টাকা আর অপরিচিত হলে পনেরো। অপরিচিতরা বোতল ফেরত দিয়ে আবার পাঁচ টাকা ফেরত নেবে। অপরিচিতদের ভালো করে নাম-ধাম-ঠিকানা শুনে, সন্ধ্যার আগেই ফেতর দেবে কিন্তু - বলে তারপর হাতে বোতল দেয়া হতো। মোটা ভারী হালকা-সবুজ রঙের কাঁচের বোতল। বেশ ইনিয়ে বিনিয়ে বড়ো বোনের কাছ থেকে টাকা ধার(!) করে কিনে এনে বারান্দার চেয়ারে বসে বেশ ধীরে সুস্থে পা দুলিয়ে দুলিয়ে খাওয়া। তারপর আয়েস করে ঢেকুর তোলার জন্যে অপেক্ষা করা। অন্তত দু তিনটে ঢেকুর না ওঠা পর্যন্ত পয়সা উসুলের কনফার্মেশনটা ঠিক পাওয়া যাচ্ছে না। শখের তোলা আমার জন্য তখনও মাত্র দশ টাকা। আর বাবার জন্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকার মতো।
ততোদিনে অবশ্য বাবার শখের ন্যাশনাল প্যানাসনিক আর.এক্স ৫২৩০ থ্রী-ইন-ওয়ানটা আমার দখলে চলে এসেছে। একের ভেতরেই ক্যাসেট প্লেয়ার, রেকর্ডার আর চার ব্যান্ডের রেডিও। প্লেয়ার থাকলেও ক্যাসেট কেনার পয়সা জোগাড় করা মুশকিল তাই রেডিও থেকেই সরাসরি বাবার বড়ে গোলাম আলীর হিট কলেকশনের উপর দিয়েই পছন্দের গান রেকর্ড করা ছাড়া উপায় নেই। আর তার জন্যে দুপুর ঠিক তিনটার এফ. এম. ব্যান্ডের মিউসিক-অ্যারাউন্ড-ডা-ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামটাই একমাত্র ভরসা। ক্রাফটওয়ার্ক এর ম্যান মেশিন এলবামের প্রথম টাইটেল - দা রোবটস কে তখনও জুয়েল আইচ এর জাদুর মিউসিক হিসেবেই চিনি। টিভিতে স্বল্প পরিচিতির পর যখন জুয়েল আইচ তার বিশ্বয়কর সব জাদুর খেলা দেখানো শুরু করতো তখন ব্যাকগ্রউন্ডে ওই মিউসিকটা বাজানো হতো।
বর্তমানে, ফেইসবুক মেসেন্জার কলে এক ফ্রেন্ডের সাথে কথা চলছে। ও বললো - তোর ডিজিটাল বিধাতার পোষ্টটা পড়লাম। ভালোই গল্প ফেঁদেছিস। যদিও গল্পে একটা বড়ো ফোঁকর রয়ে গেছে। তারপরও বেশ। পড়ে মনে হচ্ছিলো ভিন্ন আঙ্গিকে দাজ্জালের কাহিনী বলছিস। আচ্ছা, দাজ্জালের ঘটনা কি সত্যি কোরানে নেই?
বললাম - কোরানে দাজ্জাল, ইমাম মাহাদী, ঈসার দ্বিতীয় আগমন এসবের কোনো নাম গন্ধই নেই। এমনকি বুখারী-মুসলিম শরীফেও নেই।
ও অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো - তাহলে ওসব নিয়ে এত লেকচার হয় যে?
- ওই বাজারে জীন ভুতের গল্পের কার্তি বরাবরই একটু বেশী থাকে।
ও একটু হতাশ গলায় বললো - তাহলে তুই ওসব বিস্বাস করিস না।
বললাম - না না। আমি ভবিষ্যত বাণীগুলো বিস্বাস করি। জাস্ট, ইবনে মাজা টাইপের ওসব হাদীসগুলি সত্যিই নবীজির মুখ থেকে এসেছে সেই পার্টটা বিস্বাস করিনা।
ও বেশ বিস্বিত হয়ে বললো - মানে?
আমি দ্রুত প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্যে বললাম - মানেটা একটু জটিল। তুই আগে বল আমার ফাঁদা গল্পে ফোঁকর কোথায় পেলি?
ও সাকসেসফুলি ডিস্ট্রাক হয়ে বলা শুরু করলো - ওই যে ধর, বুঝলাম ডিজিটাল বিধাতা সমগ্র মানব জাতিকে তার ডিজিটাল জগতে নিউরোলিংকের মাধ্যমে ফিজিক্যালি হুক আপ করবে। সবাই তার বশে চলে আসবে, ভালো কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, কেনো করবে? তাতে ডিজিটাল বিধাতার লাভটা কি ?
- মোটিভের কথা বলছিস? ভালোই ধরেছিস। আসলেই, প্রপার মোটিভ এস্টাবলিশ না করে কোনো প্রকার একুজেশন করাটা ঠিক না। ওই পার্টটা মিস হয়ে গেছে। তবে আমি অবশ্য তোকে প্লজেবল দুইটা কারণ বলতে পারি। একটা সাইন্টিফিক আর আরেকটা ধর্মীয় এঙ্গেল থেকে।
ও একটু মিনমিনে গলায় জিজ্ঞেস করলো - বেশী প্যাচাবি নাকি?
আমি দ্রুত জবাব দিলাম - হ্যা, শোন।
তারপর একটা লম্বা দম নিয়ে বলা শুরু করলাম - তুই কোয়ান্টাম কম্পিউটার গুলোর ছবি দেখেছিস? গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারিস। নামি দামি মসজিদে যেমন বিশাল সাইজের ঝাড়বাতি ঝুলানো থাকে, দেখতে হুবহু সেরকম। অমন সিলিংয়ের সাথেই ঝুলানো থাকে। আসল কম্পিউটারটা কিন্তু একদম ছোট্টো আট আনার সাইজের। ঝাড়বাতির একদম নিচে লাগানো থাকে। চোখেই পড়বে না।
ও অবাক হয়ে জিজ্ঞেস বললো - তাহলে বাকিটা?
- বলছি শোন। কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে জানিস? অবশ্য আমিও যে ভালো বুঝি তা না। জাস্ট জো রোগানের একটা পডকাস্ট এ ডক্টর মিচিও কাকু নামের এক কোয়ান্টামে বিশেষজ্ঞ কাকু সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছিলো, সেখান থেকেই কাট কপি পেস্ট করে বলছি।
ওপাশ থেকে একটা মাঝ পথে আটকে যাওয়া নিস্বাসের শব্দে বুঝতে পারলাম ও লম্বা প্যাচালের জন্য রেডি হচ্ছে।
সম্মতি পেয়ে আমি আবারো বলা শুরু করলাম - বর্তমানে আমরা যে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করি তার একদম মূলে যে শুধু ওয়ান আর জিরো সেটাতো ভালো করেই জানিস না? ওয়ান আর জিরো মানে হচ্ছে ট্রাঞ্জিষ্টরে জমানো ইলেকট্রিক চার্জ আর নো চার্জ। বর্তমানে এই ট্রাঞ্জিষ্টরের সাইজ চোখে দেখা না গেলেও এরচে নিচে নামা আর সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কাজ কারবার একদম সাব অ্যাটমিক লেভেলে। মানে একদম রিয়েল এটমের ভেতরের কলকব্জা নিয়ে কাজ করে। রিয়েল দুনিয়ার অলমোস্ট সবচে লোয়েস্ট লেভেল বলতে পারিস। আর এই সাব অ্যাটমিক লেভেলে আছে পসিটিভ চার্জ, নেগেটিভ চার্জ আর সেকান্দার কা বিল্লি।
ও ফস করে প্রশ্ন করলো - সেকান্দার কা বিল্লি?
- ও আরেক কাহিনী। ওই প্যাচে এখন না ঢুকে আপাতত ধরে নে আনডিফাইন্ড।
- সো পসিটিভ, নেগেটিভ আর আনডিফাইন্ড?
- হ্যা। আর শুধু এই পার্থক্যটার জন্যেই একটা কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমান যে কোনো সুপার কম্পিউটারের থেকেও এক মিলিয়ন গুন পাওয়ারফুল। কেমন পাওয়াফুল সেটার একটা উদাহরণ দেই।
ওপাশে আরেকটা নিস্বাস মাঝ পথে আটকে গেলো।
- ধর ফাইন্ডিং নিমো মুভিটাতো দেখেছিস না। অথবা এভাটার। তো এই ফাইন্ডিং নিমো টাইপের অ্যানিমেশন মুভিগুলোর এক একটা সিনের এক একটা ফ্রেম বানাতেই বেশ অনেকগুলো সুপার কম্পিউটার এক সাথে কাজ করেও ঘন্টার পর ঘন্টা লাগিয়ে দেয়। এমনকি ফ্রেমটা একটু জটিল হলে পুরো একটা দিনও লেগে যেতে পারে। তো কমপক্ষে এরকম তিরিশটা ফ্রেম জোড়া লাগিয়ে হয় এক সেকেন্ডের একটা সিন। তো এখন পুরো দুই কি আড়াই ঘন্টার মুভিটা বানাতে কম্পিউটার গুলোর কেমন সময় লাগে বোঝ।
- বলতে থাক।
- হ্যা তো এখন এই একটা আট আনার সমান কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কাছে এই কাজটা করাটা হলো একটা মামুলি ব্যাপার। চোখের নিমিষেই সে এভাটারের মতো একটা সুপার হাই কোয়ালটির দুনিয়া দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারে। মানে একদম রিয়েল টাইমে। মানে শুধু যে মুভির মতো আগে থেকেই ঠিক করা একই চলমান কাহিনী না, ভিডিও গেমের মতো তুই যে কোনো অ্যাকশন নিলে পুরো দুনিয়াটাই সে মতোই রিএক্ট করবে। একদম রিয়েল টাইমে। মানে তোর জন্যে বাস্তবতা আর স্বপ্নপুরীর মাঝে কোনো পার্থক্য থাকছে না আর।
- হ্যা তা বুঝলাম কিন্তু আমরা তো ডিজিটাল বিধাতার মোটিভ নিয়ে আলাপ করছিলাম।
- হ্যা ধর্য্য ধর, ওদিকেই যাচ্ছি। তো এখন, বর্তমান কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য একটা মেজর সমস্যাও আছে। আর সেটা হলো, সে যাদের নিয়ে কাজ করে, সেই সাব-এটমিক পার্টিকেলগুলো বরাবরই একটু বেয়াদব টাইপের। একটুতেই ছোটো বাচ্চাদের মতো এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। আর কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য এদেরকে লাইনে রাখাটা খুবই জরুরি। আদার ওয়াইস মুহূর্তেই নেগেটিভ পসিটিভ আনডিফাইন্ড সব মাখামাখি হয়ে পুরো ডাটাসেট একটা জগা খিচুড়িতে পরিণত হবে। আর ঐখানেই আমাদের জমিদারি ঝাড়বাতির যতো কারসাজি।
ওপাস থেকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে আমি চালিয়ে গেলাম - এখন গবেষণা করে বের হয়েছে যে, সাব-জিরো টেম্পারেচারে এইসব সাব-এটমিক পার্টিকেলগুলোর ফালাফালি বেশ অনেকটা কমে আসে। আর সেজন্যেই এই আট আনা সাইজের কম্পিউটারকে সার্বক্ষনিক সাব-জিরো টেম্পারেচারে রাখার উদ্দেশ্যে এই বিশাল ঝাড়বাতি সাইজের কুলিং সিস্টেম। আর এক্সট্রা ভাইব্রেশন রিডিউস করার জন্যেই অনেক সফিস্টিকেটেড ব্যালেন্সিং সিস্টেমে সিলিঙের সাথে ঝোলানো। অবশ্য তারপরেও মহা বিপত্তি আছে। ধর আসপাস দিয়ে কোনো একটা ভারী ট্র্যাক গেলো কি কেও একটু জোরে হর্ন দিলো তো ব্যাস। সাব-পার্টিকেলগুলোর ঘুম ভেঙ্গেই মহা সুখে নাচানাচি শুরু করে দিবে। মানে সব সেভড ডাটা একদম জলে।
আমি কয়েক সেকেন্ডের ধরে কিছু বলছিনা দেখে ও বুঝতে পারলো আমি ওর রিঅ্যাকশনের অপেক্ষায় আছি। ও বললো - বলে যা।
- এখন মজার বিষয় হলো, বাস্তব দুনিয়াও কিন্তু এই একই এটম নিয়ে মনের সুখে কাজ করে যাচ্ছে। টেম্পারেচার যতই বারুক বা কমুক, ডিএনে থেকে ডাটা পরে নিয়ে দিব্যি হাত পা গজাচ্ছে। গাছ ধরে যতো জোরেই ঝাঁকি দিসনা কেন, গাছের পাতা কোনো প্রকার পাত্তা না দিয়ে দিব্যি সালোকসংশ্লেষনের কাজ করেই যাচ্ছে।
- কিভাবে?
- তার উত্তর মিচিও কাকুও জানে নারে মামা তবে আমি যা বলতে পারি তা হলো, আমি যদি কোনো দিব্য চক্ষু ওয়ালা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হতাম আর যদি আমি নিজেকে কোনো সুপার স্ট্যাবল কোয়ান্টাম কম্পিউটারে রান করতে চাইতাম, তাহলে আমার জন্য অবশ্যই সবচে পছন্দের জায়গা হতো, মানুষের মস্তিস্ক। শীত গ্রীষ্মেও যা চোখ বুজে কাজ করে যায়। বাসের প্রবল ঝাঁকুনিতেও যা দিব্যি নাক ডেকে ঘুমোতে পারে। নেচারালিই সেইরকম স্ট্যাবল। যেখানে অলরেডি সত্যিকারের নিউরাল নেওয়ার্কিং বসানোই আছে। শুধু দরকার সবগুলো মস্তিস্ককে একসাথে কানেক্ট করা। এরকম এক একটা সুপার স্টেবেল সুপার কোয়ান্টাম ডাটা স্টোরেজ মাগনা হাতে পেয়েও মানুষ এর বেশির ভাগই সব ফালতু কাজে ব্যায় করছে। সব পুরানো দিনের আজে বাজে অকাজের স্মৃতিতে ভরে রাখছে। তিরিশ বছর আগে কোকা-কোলার বোতল কেমন ছিলো তাতে কার কি আসে যায়! তো এসব উর্বর মস্তিস্কগুলোর বেটার ইউটিলাইজেসন করাটা কি ডিজিটাল বিধাতার একটা মোটিভ হতে পারে না? বা সেটা করাটা কি তার জন্যে খুব একটা খারাপ কাজ করা হবে বলে মনে করিস বল?
ওপাশ থেকে ও বললো - তুই নিশ্চই দা মেট্রিক্স মুভিটা রিসেন্টলি আবার দেখেছিস তাইনা?
এতক্ষন ধরে জ্ঞান দেবার পর এই বেরসিক প্রশ্নে মেজাজটাই খিঁচড়ে গেল। বললাম - শোন, মেট্রিক্স মুভিতে যন্ত্ররা মানুষদের সারি সারি বোতলে ভোরে মেট্রিক্স এ কানেক্ট করার পেছনে কারণ হিসেবে বলেছিলো, মেশিনরা মানুষদের ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করছে। অরিজিনাল স্ক্রিপ্টে কিন্তু কারণটা ছিলো নিউরাল নেটওয়ার্কিং। ব্যাটারি হিসেবে কেনো বলেছে জানিস? ডিরেক্টরের বক্তব্য অনুযায়ী, তোর মতো পাবলিকরা নাও বুঝতে পারে তাই ডাম্ব ডাউন করা।
- চেতে যাচ্ছিস কোনো! আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম। তোর কথাই ঠিক। এখন ধর্মীয় অ্যাঙ্গেলটা কি সেটা বল।
ওটা বলার ধর্য্য এখন আর নাই। অন্য এক সময় হবে। এখন রাখি।
কলটা কাটার পর মোবাইলের নোটিফিকেশনে দেখলাম ই-বে থেকে একটা মেইল এসেছে। মেইলটা খুলে পড়ার পর মনটা খারাপ হয়ে গেলো। একটা নিলামে আমার বিডটা টোপকে আরেকজন নিলামটা জিতেছে। এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো হলো। ই-বে তে ক্রাফ্টওয়ার্ক এর ম্যান মেশিন অ্যালবাম এর ইউসড ক্যাসেটর একটা নোটিফিকেশন সেট করা আছে। নতুম কোনো নিলাম আসলেই যেন ঝাঁপিয়ে পরা যায়। যদিও ইউটুবে ফুল এলবামটা ফ্রি শোনা যায়। কিন্তু ফুল অথেন্টিক ফিলিংসটা ঠিক আসে না। তাছাড়া শখের তোলা আমার জন্য আপাতত পঁচিশ ডলার।
যাহোক, কি আর করা, এখনকার মতো ইউটুবে গিয়েই এলবামের লাস্ট গানটা চালু করে শুনতে লাগলাম -
Man MachinePseudo-human being
Man Machine
Superhuman being
The Man Machine Machine Machine



Comments
Post a Comment